মধ্যবিত্ত
ও দাদা আপনি কি মধ্যবিত্ত? বউদি আপনি?
হুম হুম হুমম আজকের টপিক মধ্যবিত্ত।।
মধ্যবিত্তদের মুখে সব সময় একটাই কথা "গরিবের হাজার জ্বালা"। বস মধ্যবিত্ত হয়া টা কিন্তু বহুত চাপ।আপনি যদি মধ্যবিত্ত হন তাহলে দেখবেন যে মেসেজ বক্স এ কম্পানির মেসেজ এর মত মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজারের ব্যাগ থেকে বাজার উপচে পড়ছে। তাতে পাখির মাংস ( চিকেন) আর জলের পোকা ( চিংরি) থাকবেই।কিন্তু মাসের শেষ এ খাবার মেনুতে সবজি বা ডাল মাঝে মাঝে বরষা কালে রোদ ওঠার মত মাছ হয়।এত গেল খাবারের কথা।মাসের শেষএ কোলগেট বা ফেস ওয়াস এর টিউব শেষ হয়ে গেছে কিন্তু দাদা আমরা তো বড়লোক নই যে জঞ্জাল মনে করে ফেলে দেব,আমরা গণেশ এর ছোলার ছাতু খেয়ে শক্তি বাড়িয়ে ব্রাশ দিয়ে চেপে চেপে বেড় করে দুদিন তো চালাবই।তারপর সেটার ইজ্জত হানি করে পেট কেটে পেস্ট বের করে আর ও দুদিন চালানোর চেষ্টা করব।একের পর এক ঘামাচির পাউদার কিনবো কিন্তু হাই স্পিড ফ্যান চালাবো না-ইলেকট্রিক বিল দিতে দাদা খুব গায়ে লাগে।
শুয়োপোকার মত জন্ম হলেও প্রজাপতি হয়ার স্বপ্ন টা কিন্তু আমরা দেখেই যাই বেশিরভাগ সময় সেই খোলস থেকে বেরতে পারিনা।ছোট থেকেই একটা কথাই শুনে বড় হই যে " নিজের চেষ্টায় নিজেকে দাড়াতে হবে"।বাড়ি তে ছেড়া জামা পরলেও স্কুল যাওয়ার সময় স্ত্রি করা পোশাক পড়ে যেতেই হবে।মাতৃভাষা শেখার আগেই হয়ত এই ধরনের অভিনয় গুলো শিখে যাই।মধ্যবিত্ত পরিবারের কোন ছেলে বা মেয়ে যদি higher studies করার পর বলে ব্যবসা করব তাহলে উচ্চস্বরে শুনতে হয় "পড়াশুনা শিখানো হয়েছে কি ব্যবসা করার জন্য?" বুক বেধে স্বপ্ন দেখে কিন্তু আমরা রাতের পর রাত কাটিয়ে দিতে পারি।পড়ার ব্যাচে, স্কুলে বা অন্য কোথাও কাউ কে ভালো লেগে গেলে বুকে পাথর চেপে চুপ করে থাকতে হয় কেনকি এই ভালোলাগার কোনো ফিউচার নেই।এই সেক্রিফাইস করার প্রবনতা টা হয়ত মাতৃগভ থেকেই অভ্যস্ত হয়ে এসেছি।কোন সম্পকে জড়াতে আমরা ভয় পাই,এক পা এগোনোর আগে দশ পা পিছই ভাবার জন্য।যদিওবা অনেক ভেবে এক পা এগোই তবুও দাদু তোমাদের মতই কিন্তু এখনও আমারা প্রেম টা জাকিয়ে করতে পারি।পকেট গড়েরমাঠ হলেও উপহার দিতে ভাই পিছুপা হইনা।আমরা কিন্তু বহুত ইমোশনাল - ২৪*৭ যে কোন সময় যে কোন বিপদে কিন্তু আমাদের ধ্রুবতারার মত উদয় হতে দেখবেন।আমরা জন্মদিনে একটা টেডি বা ব্যাট বা ভালো পোশাক হলেই খুশি, আমাদের আই- ফোনের মত
দাবি নেই।দিনের পর দিন আশাহিনতায় ভেঙে পরেও নেশায় চুড় হয়ে বাড়ি ফিরতে পারিনা- কারন আমাদের তো একটা মানসন্মান আছে।আমরা কিন্তু ভাই নিজের খিদেতে পেটএ গামছা বেধে অন্যকে খাইয়ে পেটএর ভলিয়ুম পালটে দিতে জানি।সারা মাস কষ্টেসৃষ্টে কাটিয়ে মাসের শেষএ কিছু টাকা জমাতে পারি সন্তানের ফিউচারের জন্য।সব অভাব নিয়েও হাসি মুখে অন্যের অভাব দূর করতে পারি।মনের কষ্টে পরিবারের লোককজন কে পরজিবির মত আকরে ধরতে পারি।এত সব কিছুর অভাব থাকলে ও কিন্তু মানসন্মান টারর কোন অভাব নেই।
তাই মধ্যবিত্তএর সব কিছু ভালো নিয়ে সব টা খারাপ নিয়ে সব স্বপ্ন নিয়ে আমি মধ্যবিত্তই থাকতে চাই।
তাই মধ্যবিত্তএর সব কিছু ভালো নিয়ে সব টা খারাপ নিয়ে সব স্বপ্ন নিয়ে আমি মধ্যবিত্তই থাকতে চাই।
Comments
Post a Comment