বিয়ে বাড়ি


বিয়েবাড়ি? বিয়েবাড়ি শুনলেই নিউটনএর  3rd law  মনে হয়,প্রত্যেক বিয়ের একটা সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে। যেমন বাচ্ছাদের কাছে বিয়েবাড়ি মানে প্রতিদিন এর জরুরি কাজ যেমন খাওয়া,মল ত্যাগ এর মতই নিয়ম করে পড়াশুনার মত কাজ থেকে একদিন কিম্বা নিকট মানুষএর বিয়ে হলে ২-৩ দিন ছুটি পাওয়া যায়- এটা স্বর্গ সুখের থেকে কম কি?
এবার আসি বাচ্চাটির বাবার কথায় - বিয়েবাড়ি শুনেই  card    টিকে এমন ভাবে মনযোগের সাথে পড়ে যেন এভাবে যদি আগে পড়ত তাহলে হয়ত বাড়িতে গাড়ি আর গাড়িতে লালবাতি থাকত।তারপরেই হ্রিদপিন্দ খুলে আসে পাঁজর ভেঙে যায় এটা ভেবে যে একটা গিফট দিতে হবে।ঠিক সেই সময় বাড়ির গিন্নির প্রবেশ - "ওরা কি দিয়েছিলো যে আমাদের ভালো গিফট দিতে হবে?" মনেহয় তুলাযন্ত্র এর আবিষ্কার এই এজন্যই হয়েছিল - গিফট মাপামাপিতে।গিফট মেপে  select করা হয়ে গেল।তারপরেই এক microsecond  এর মধ্যে পারলে আলমারি ভেঙে বিশাল শাড়ির পাহাড় তৈরি খাট এর ওপর। তারপর একেক টা শাড়ি কাঁধের উপর ফেলে ঘাড় টাকে কখনো সমকোণ করে কখনো স্থুল কোন করে,কখনো বা সুক্ষ্ম কোনন করে  dressing table  এ ৩০-৪০ মিনিট কাটিয়ে স্বামী কে জিজ্ঞাস " বল না কোন শাড়ি টা পড়ব।"- প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিয়ে কিন্তু ২২ দিন বাকি এখনও।এরপরেই অভিযেlগের ঝড় উঠল - যদিও ঝড় টা পাড়ার বউ দের মধ্যে রেশারেশির ঝড়।
এবার আসি  teenagers    ছেলেদের কথায় - রঙিন কাডের  ওপর বাবার নাম দেখে মুখটা  কিছু টা    sad imoji   হলেও এক মুহুতের মধ্যে   GIF হয়ে কারড টিকে খুলে দেখা
আপন/সবান্ধবে? সবান্ধবে লেখা টা দেখেই যেন মনে    pressure cookee er whistle  বেজে উঠল। এবার বিয়ের দিনের অপেক্ষা - সেজে গুজে নিজেকে সলমন বানিয়ে 
 তে সুন্দরী মেয়েগুলকে ঝাঁরি মারার চেষ্টা - একটাও পাত্তা না দেয়ায় ছেড়া কাগজের মতো মন টাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসা- যদিও ফেভিকল এর কাজ টা করেছিল বিয়েবাড়ির সুস্বাদু খাবার।
  teenagers      মেয়েদের রঙিন বিয়ের কারড  হাতে এলেই যেন রঙিন আবেগের স্বপ্ন এ ভেসে যায় - এক সেকেন্ড এ জ্যোতিষী হয়ে নিজের বিয়েও দেখতে পায়।তারপরেই শুরু হয় টেনশন আর প্রিপারেশন কারন বিয়ের কনের থেকেও তাকে বেশি সুন্দর লাগতে হবে - কি ফালতু আবদার তাইনা?  মন প্রাণ জুরে প্নানিং আর প্লানিং।  cosmetics brand গুলো এই এজন্যই এত তাড়াতাড়ি বড়লোক হয়ে যায়।
যাও বা অতি কষ্টেসৃষ্টএ দ dress selection    হয়,সমস্যা তৈরি হয় ম্যাচিং জুয়েলারি আর ব্যাগ নিয়ে। বিয়ের দিন ৩-৪ ঘণ্টা ধরে আটা ময়দা বা ফুড কালার মেখে নিজেকে এমন মনে করে যেন আজ তাকে কোন হিরো ভালবেসে খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় তাজমহল বানাবে তার জন্য। এরপর আসে সেল্ফি তোলা- বয়স্করা দেখলে বলবে যে আম্বুলেন্স ডাক ম ৃগি উঠেছে। এরপর আসি খাওয়া দাওয়ায় - দুটা রঙিন   ঠোটের মাঝখান এ খাবার ধকাতে এত অসুবিধা হয় যেন মনে হয় যেন দাঁত গুলো দুস্পাপ্য মুক্তা।
সবমিলিয়ে বিয়ে বাড়ি মানেই আনন্দ।কিছু সব জান্তা বাশ দেওয়া লোকজনের সাথে দেখা হয়।আসুক না প্রতি মাসে বিয়ে তাতে   ক্ষতি কি?  বিয়ে বাড়ি নতুন গল্প শুধুমাত্র আপনাদের জন্য।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

status of প্রেম

oboidho prem

মধ্যবিত্ত